সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ১৬ প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক প্রতিক) নির্বাচনী এজেন্ট এ.বি.এম. আফরোজ খান আরিফ সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে যেসব কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুর প্রভাবান্বিত কর্মকর্তা। তারা যেসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাদের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি বর্তমান সাংসদ ও তার আত্মীয়-স্বজন। এতে নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার আশংকা করা হয়েছে।
তাদের পছন্দমতো কর্মকর্তাগণ প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান অসম্ভব নয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। আিভযোক্তরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন ও সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। যেসকল প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে- ৩১ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রভাষক আহসান হাবিব, ৯৯ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোবুদীয়া সবুজ বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মোঃ আইয়ুব খান, ৯৪ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোস্তফা মতিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. উবায়দুর রহমান, ৮৮ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার চাপড়বাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মোবাশারুল ইসলাম, ৮৬ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিরুনীয় সদর আলী সরকার মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের প্রভাষক দিদার উল আলম, ৩৩ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, ৪৪ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আশকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান, ৫১ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বাদে পুরুড়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. নাজমুল হক, ৫৪ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম, ৫৭ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ধলিয়া বহুলী আজিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাহাত খান, ৬৭ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মল্লিকবাড়ী পিপিআইজিডি মাদরাসার সুপার মো. আবুল হোসেন, ৭২ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মল্লিকবাড়ী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আতাউল গণি মো. মাইন উদ্দিন, ৭৫ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিরুনীয় সদর আলী সরকার মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের জেষ্ঠ্য প্রভাষক এ.এম আফতাব উদ্দিন, ৯০ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ধলিয়া বহুলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক মো. মাহবুব আলম, ৫৫ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিরুনীয় সদর আলী সরকার মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. রাশেদুজ্জামান রাসেল, ১০০ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সোনার বাংলা ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান ।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক প্রতিক) নির্বাচনী এজেন্ট এ.বি.এম. আফরোজ খান আরিফ জানান, নির্বাচন পরিচালনার জন্য যেসব প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এবং তার আত্মীয়-স্বজন। এতে নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার আশংকা সুস্পষ্ট। বর্তমান সংসদ সদস্য তার পছন্দমতো কর্মকর্তাগণ প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান অসম্ভব, এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট তথ্যপ্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি অভিযোক্ত ওই ১৬ প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি প্রদান করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরী করবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।